img

পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, একদল মানুষ মিথ্যা তথ্য প্রচারে আনন্দ পায়। করোনার মতো গম্ভীর পরিস্থিতিতেও তারা জনসাধারণের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে মজা পেতে চায়। তাদের এই অসৎ উদ্দেশ্য সফলও হয়ে যায়। নিজের অজান্তে আমরাই তাদের সফল হতে দিচ্ছি। কিভাবে?

ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাওয়া সব তথ্যকে আমরা সত্য ভেবে নেই। এরপর তার সত্যতা যাচাই না করেই, শেয়ার করতে শুরু করি। ফলাফল, তথ্যটি নিজের ফেসবুক থেকে লাখো মানুষের ফেসবুক পাড় করে হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার, ইন্সটাগ্রামের মতো সামাজিকমাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পরে। বুঝতে পারছেন, আমাদের না জানা একটি ভুল, বিভ্রান্তি ছড়াতে কতবড় অবদান রাখছে? এই বিষয়ে হোয়াটসঅ্যাপ প্রতিষ্ঠান থেকে কিছু পরামর্শ দিয়েছে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সেসব তথ্য।

জনপ্রিয় মেসেজিং সাইট হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ বলছে, মানুষ খুব বেশি ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে গিয়েছে। তাই সব কিছুর সমাধান এখানেই পেতে চায়। বন্ধু ও পরিজনদের সহযোগিতা করতে তথ্য শেয়ার করতে তারা অনেক বেশি তাড়ায় থাকে। তাই করোনাভাইরাস সম্পর্কে পাওয়া যেকোন তথ্যকে তারা গুরুত্ব দিচ্ছে। আমরা দেখছি, অনেকেই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য শেয়ার করে যাচ্ছে। তাদের জন্য আমদের বিশেষ কিছু পরামর্শ। এখানে আমরা কথা বলছি তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের কিছু পদ্ধতি নিয়ে।

  • সাধারণত মিথ্যা তথ্যের কোন উৎস বা প্রমাণ দেয়া থাকে না।  
  • বেশিরভাগ মিথ্যা তথ্যের ক্ষেত্রে আপনি ফরোয়ার্ড করা মেসেজ, ছবি, ভিডিও, ভয়েস রেকর্ডিং পেয়ে থাকবেন।
  • যদি কোন তথ্যের উৎস দেয়া থাকে, তাহলে সেই উৎসের ওয়েবসাইটে গিয়ে চেক করুন।
  • শেয়ার করার আগে, তথ্যটি কি রকম প্রতিক্রিয়া ফেলতে পারে তা ভালভাবে ভাবুন।
  • হাজার হাজারবার ফরোয়ার্ড হওয়া মেসেজ ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ খবরটি সত্য হলে, এতক্ষণে টিভি চ্যানেল বা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে চলে আসতো।
  • যদি কোনো তথ্য গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়, তাহলে যে পাঠিয়েছে তার কাছে উপযুক্ত প্রমাণ চান।
  • স্বাস্থ্য বিষয়ক যে কোন তথ্য যাচাই করতে বিশ্বস্ত সাইট, যেমন- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিএইচও), সরকারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে খোঁজ করুন। তথ্যটি সঠিক হলে, উক্ত সাইটেও প্রকাশ করা হবে।
  • সবশেষে, শুধু নিজের শেয়ার বন্ধ করলে চলবে না। তাই ভুল তথ্য প্রদানকারীকে বা মেসেজটিকে রিপোর্ট করুন।

জিরোআওয়ার২৪/এমএ

এই বিভাগের আরও খবর